যাজক সম্প্রদায় : প্রাক্-বিপ্লব ফ্রান্সের সমাজ ছিল স্তর বিভক্ত ও বৈষম্যমূলক এবং এই সমাজে সুবিধাভোগী সম্প্রদায়ের অন্তর্গত ছিল যাজক সম্প্রদায়।
প্রাক্-বিপ্লব কালে যাজক সম্প্রদায় –
যাজক সম্প্রদায়ের সুবিধাগুলি হল-
সংখ্যাগত দিক
যাজক সম্প্রদায় প্রথম এস্টেট বা সম্প্রদায় নামে পরিচিত এবং ফ্রান্সে এদের সংখ্যা ছিল মোট জনসমষ্টির শতকরা এক ভাগেরও কম, যাজকদের মধ্যে দুটি ভাগ ছিল যথা, উচ্চতর যাজক (বিশপ, ক্যানন, মঠাধ্যক্ষ) এবং নিম্নতর যাজক (বিশেষত পাদরিগণ)।
কর-নিষ্কৃতি
ফ্রান্সের এক দশমাংশ ভূ-সম্পত্তি যাজকদের দখলে থাকলেও যাজকেরা রাষ্ট্রকে বছরে এককালীন স্বেচ্ছাদান ছাড়া অন্য কোনো কর দিতেন না।
====>>> জীববিদ্যার সঙ্গে বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার সম্পর্ক
বিশেষ সুবিধা
ফ্রান্সে যাজকরা বিশেষ ধরনের শাসন অধিকার, রাজস্ব ব্যবস্থা ও বিচারব্যবস্থার সুযোগসুবিধা পেত। যাজকদের ধর্মীয় ও সম্প্রদায়গত স্বার্থরক্ষার জন্য ছিল যাজকীয় সভা এবং এইজন্যই যাজক সম্প্রদায় ‘রাষ্ট্রের মধ্যে একটি রাষ্ট্র’ নামে পরিচিত ছিল।
ধর্ম কর আদায়
যাজকেরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ধর্ম কর বা টাইথ আদায় করত। পাশাপাশি অনেকেই তাদের পবিত্র জীবনযাপন থেকে বিচ্যুত হয়ে ধর্মীয় কর্মে উদাসীন হয়ে পড়েছিল এবং অলস ও উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন শুরু করেছিল।
উপসংহার
তবে সুবিধাভোগের ফারাক থাকায় বিভিন্ন স্তরের যাজক সম্প্রদায়ের মধ্যে সংহতি ছিল না এবং উচ্চতর যাজকেরা নিম্নতর যাজকদের ঘৃণা ও অবজ্ঞা করতেন। তাই যাজকেরা প্রচলিত সমাজব্যবস্থার অবসান চেয়ে ফরাসি বিপ্লবে শামিল হয়েছিলেন।
====>>> ভারতের মৃত্তিকার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
7 thoughts on “প্রাক বিপ্লব কালে যাজক সম্প্রদায় সম্পর্কে লেখো”